Company News 24
Stay Ahead with the Latest in Business

সর্বশেষ আজকের(২০২৪) বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার

0

করপোরেট নিউজ24 :  প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা বিদেশে কঠোর পরিশ্রম করে যে অর্থ পাঠান, তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায়, বেকারত্বের চাপ কমায়, এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে।বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার।

প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের মাধ্যমে অনেক পরিবার তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে, ব্যবসা গড়তে পারে, এবং শিক্ষার সুযোগ পায়। একদিকে যেমন তা সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সাধারণ মানুষের জন্যও একটি বড় আয়ের উৎস।

এ কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদান দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিসীম। আজকের মুদ্রা বাজার ২০২৪ যাচাই ।

দৈনন্দিন জীবনে মানুষের কাছে মুদ্রার বিনিময় হার কেন জানা জরুরি

দৈনন্দিন জীবনে মানুষের কাছে মুদ্রার বিনিময় হার জানাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি মানুষের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে এবং তাদের জীবনযাত্রায় বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। নিচে কিছু কারণ দেওয়া হলো কেন মুদ্রার বিনিময় হার জানা জরুরি:

১. আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয়ে প্রভাব
যদি আপনি বিদেশ থেকে কোনো পণ্য বা সেবা কিনতে চান, তাহলে মুদ্রার বিনিময় হার জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, আপনি যদি ডলার বা ইউরো দিয়ে কিছু কিনতে চান, তবে আপনার দেশের মুদ্রার তুলনায় এর দাম কেমন হবে, সেটা বোঝা প্রয়োজন। বিনিময় হারের ওঠানামা সরাসরি আপনার খরচে প্রভাব ফেলতে পারে।

২. প্রবাসী বাংলাদেশিদের অর্থ পাঠানো
যে সব মানুষ বিদেশে বসবাস করে এবং তাদের পরিবারকে দেশে টাকা পাঠান, তাদের জন্য মুদ্রার বিনিময় হার জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তিত হয়, তাহলে প্রবাসীরা যে পরিমাণ টাকা পাঠাবে, সেটি কিভাবে তাদের পরিবারের জন্য বেশি বা কম মূল্যবান হবে, তা নির্ধারণ করা যায়।

৩. বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নেয়া
যদি আপনি বিদেশী মুদ্রায় ঋণ নিয়ে থাকেন (যেমন, ডলার বা ইউরো), তবে মুদ্রার বিনিময় হার জানার মাধ্যমে আপনি ভবিষ্যতে যে পরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হবে, তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে পারেন। বিনিময় হার বাড়লে, আপনাকে আরও বেশি টাকা পরিশোধ করতে হতে পারে, এবং বিনিময় হার কমলে আপনার ঋণ খরচ কম হতে পারে।

৪. ভ্রমণের সময় খরচের হিসাব
বিদেশে ভ্রমণ করতে গেলে আপনাকে সেই দেশের মুদ্রায় খরচ করতে হয়। যদি আপনি জানেন, আপনার দেশের মুদ্রা কিভাবে বিদেশী মুদ্রার সঙ্গে সম্পর্কিত, তবে আপনি আরও ভালভাবে বাজেট তৈরি করতে পারবেন। মুদ্রার বিনিময় হার বুঝে সাশ্রয়ীভাবে অর্থ খরচ করা সম্ভব।

৫. স্থায়ী বা অস্থায়ী বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত
যদি আপনি বিদেশী শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চান, বা বিদেশী কোম্পানির শেয়ার কিনতে চান, তাহলে মুদ্রার বিনিময় হার জানাটা জরুরি। কেননা বিনিয়োগের সময় মুদ্রার হারের ওঠানামা আপনার লাভ বা ক্ষতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

৬. মুদ্রাস্ফীতি ও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ইঙ্গিত
মুদ্রার বিনিময় হার দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার একটি ইঙ্গিত দেয়। যদি বিনিময় হার বেশি ওঠে বা কমে, তা দেশটির মুদ্রাস্ফীতি, আমদানি-রপ্তানি বা বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এভাবে, মুদ্রার বিনিময় হার সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেতে পারেন।

এভাবে, মুদ্রার বিনিময় হার জানা কেবল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বা ভ্রমণের জন্য নয়, বরং সাধারণ জীবনযাত্রায়ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার দৈনন্দিন অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোতে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে সাহায্য করে।

আজকের মুদ্রা বাজার ২০২৪: 
মার্কিন ডলার (USD) আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রা, এবং তার গুরুত্ব বিভিন্ন কারণে। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির রিজার্ভ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় মার্কিন ডলার একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। নিচে মার্কিন ডলারের গুরুত্বের কিছু প্রধান কারণ তুলে ধরা হলো:
১. বিশ্বের প্রধান রিজার্ভ মুদ্রা
মার্কিন ডলার বর্তমানে বিশ্বের প্রধান রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আন্তর্জাতিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এবং সরকারসমূহ তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ডলার ধরে রাখে। ২০২৩ সালের মধ্যভাগে, বিশ্বের মোট রিজার্ভের প্রায় ৫৮% মার্কিন ডলার দ্বারা গঠিত ছিল। এটি বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যখনই কোনো দেশ বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চায়, তখন তারা মার্কিন ডলার জমা রাখে।
২. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলার ব্যবহার
বিশ্বের বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মার্কিন ডলারে সম্পন্ন হয়। বেশিরভাগ বড় বড় পণ্য (যেমন: তেল, সোনা, কৃষিপণ্য) মার্কিন ডলারে লেনদেন করা হয়। বিশেষ করে তেল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদগুলির বাণিজ্যে মার্কিন ডলার প্রধান মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা “পেট্রোডলার” নামে পরিচিত।
৩. বিশ্বব্যাপী ঋণ শোধ এবং বিনিয়োগ
বিশ্বের অনেক দেশ মার্কিন ডলারে ঋণ নেয় এবং শোধ করে। ডলারের প্রাধান্য থাকার কারণে, বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক ঋণ বা সিকিউরিটিজ বাজারে ডলারে লেনদেন করে থাকে। অনেক উন্নয়নশীল দেশ এবং বড় আন্তর্জাতিক কোম্পানি তাদের ঋণ বা বিদেশী ঋণ মার্কিন ডলারে জমা রাখতে এবং পরিশোধ করতে চায়।
 ৪. গ্লোবাল ট্রেড ও ব্যবসায়ের জন্য সুবিধাজনক
মার্কিন ডলার ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা একাধিক মুদ্রার ঝামেলা এড়িয়ে যান। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যদি একাধিক দেশের মুদ্রায় লেনদেন করতে হয়, তবে তা জটিল হতে পারে। কিন্তু মার্কিন ডলারে লেনদেন করার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা একক মুদ্রায় সব লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন, যা গ্লোবাল বাণিজ্যের জন্য সুবিধাজনক।
 ৫. বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি। এটি বৃহত্তম গৃহস্থালির বাজার এবং অনেক আন্তর্জাতিক কোম্পানির সদর দপ্তরও এখানে অবস্থিত। ডলারের চাহিদা এবং শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থানের কারণে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বে এক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
৬. ভৌগলিক এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
মার্কিন ডলার অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় অধিকতর স্থিতিশীল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে পরিচিত। এর অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল, যা ডলারের মূল্যমানকে শক্তিশালী করে। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মার্কিন ডলারকে একটি নিরাপদ স্থাপন হিসেবে বিবেচনা করে।
৭. অধিক তরলতা (Liquidity)
মার্কিন ডলার অত্যন্ত তরল, অর্থাৎ পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় সহজেই ডলার পরিবর্তন বা ব্যবহার করা যায়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া মুদ্রা, যা বিভিন্ন আর্থিক বাজারে সহজেই প্রবাহিত হয়। এমনকি অনেক ছোট দেশ এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতিতেও মার্কিন ডলার একটি জনপ্রিয় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৮. বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়
বিশ্বব্যাপী অনেক বিনিয়োগকারী মার্কিন ডলারকে নিরাপদ একটি বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করে। ইউরোপ, এশিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে অনেক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান মার্কিন ডলার বা মার্কিন সিকিউরিটিজে (যেমন: ডলারের মাধ্যমে ইউএস ট্রেজারি বন্ড) বিনিয়োগ করেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণের বাজারে এক বিশাল চাহিদা সৃষ্টি করে, যার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কম সুদে ঋণ নিতে পারে।
৯. ডলার ভিত্তিক গ্লোবাল ফাইনান্সিয়াল সিস্টেম
বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং এবং ফাইনান্সিয়াল সিস্টেমের অনেক অংশ ডলারের উপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং লেনদেন, ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন, ওয়্যার ট্রান্সফার, ট্রেড ফাইনান্স ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই ডলার ব্যবহৃত হয়। ডলারের ব্যবহারে গ্লোবাল অর্থনৈতিক লেনদেনের পরিমাণ আরও বেশি থাকে।
১০. কোনো আন্তর্জাতিক সংকটের সময়ে নিরাপদ আশ্রয়
বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে বিনিয়োগকারীরা মার্কিন ডলারকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বিবেচনা করে। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়, তখন ডলার শক্তিশালী হয় এবং অন্য মুদ্রাগুলির তুলনায় এর মূল্য বাড়ে।

মার্কিন ডলার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, রিজার্ভ, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মুদ্রা। এর প্রাধান্য এবং শক্তি বিশ্ব অর্থনীতির কার্যকারিতায় অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে, যা বিশ্বের অনেক দেশ এবং প্রতিষ্ঠানকে ডলার নির্ভর করে রাখতে বাধ্য করে।বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার ।

 সবার লেনদেনের সুবিধার্থে আজকের বৈদশিক (১৪ অক্টোবর ২০২৪) মুদ্রার বিনিময় হার নিচে তুলে ধরা হলো।

মুদ্রা ক্রয় (টাকা) বিক্রয় (টাকা)

ইউএস ডলার ১১৯.০০ ১২০.০০

পাউন্ড ১৫৪.২২ ১৫৭.৬৯

ইউরো ১২৯.১২ ১৩২.০১

জাপানি ইয়েন ০.৭৯ ০.৮৩

অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৮০.২১ ৮১.৮৯

হংকং ডলার ১৫.৩১ ১৫.৪৪

আজকের মুদ্রা বাজার ২০২৪

সিঙ্গাপুর ডলার ৯০.১০ ৯২.৯৭

কানাডিয়ান ডলার ৮৬.৩৮ ৮৭.১১

ইন্ডিয়ান রুপি ১.৩৯ ১.৪৩

সৌদি রিয়েল ৩১.৬৬ ৩১.৯৭

মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ২৭.৬৫ ২৭.৯৩

সূত্রঃ এনসিসি ব্যাংক লিঃ

করপোরেটনিউজ/মনির, জুবায়ের

Leave A Reply

Your email address will not be published.

google-site-verification=1ANNK1RMHaj1Iw7yR8eRAr3R5K-aLbxTqN87o-pnte8 google-site-verification: google05340dd170c353ef.html