EMail: corporatenews100@gmail.com
ঢাকা: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের তিনটি ব্যাংককে বিশেষ ঋণ হিসেবে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ঋণ দিয়ে ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালের শেষ দিনের (৩১ ডিসেম্বর) চলতি হিসাবের ঘাটতি পূরণ করে এবং নিজেদের চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত দেখিয়েছে।
বিশেষ ঋণ পাওয়া তিন ব্যাংক হলো ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এবং এবি ব্যাংক। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ৬ হাজার কোটি টাকা, এবং এবি ব্যাংক ১ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে ১১.৫ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করতে হবে।
গত সোমবার এই ঋণ প্রদান করা হলেও, তা ফেরত নেওয়ার জন্য বুধবার (১ জানুয়ারি) নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, ১ হাজার কোটি টাকার ঋণের বাইরে এবি ব্যাংককে আরও ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, যা ব্যাংকটির দৈনন্দিন তারল্য চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।
ঋণের প্রয়োজনীয়তা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঋণ অনিয়ম এবং সুশাসনের অভাবের কারণে ব্যাংক তিনটি দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত নগদ জমার হার (সিআরআর) এবং বিধিবদ্ধ জমার হার (এসএলআর) বজায় রাখতে পারছে না।
এসএলআরের জন্য থাকা ট্রেজারি বিল ও বন্ডগুলো বন্ধক রেখে এই ব্যাংকগুলো অতীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিল। তবে বর্তমানে তাদের কাছে নতুন করে ঋণ নেওয়ার মতো কোনো উপকরণ বা জামানত নেই।
বছরের শেষ দিনের চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত দেখানোর জন্য এবং সিআরআর ও এসএলআর বজায় রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক এই তিন ব্যাংককে বিশেষ ঋণ প্রদান করেছে।
এই পদক্ষেপ দেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। তবে তারা একই সঙ্গে এ ধরনের ঋণ যেন নিয়মিত অনুশীলন না হয়ে যায়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
করপোরেটনিউজ২৪, জুবায়ের