Company News 24
Stay Ahead with the Latest in Business

ইসলামের দৃষ্ঠিতে দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা বলতে কী বুঝায়

0

Corporate news24:  ইসলামের দৃষ্টিতে দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা দুটি ভিন্ন কিন্তু পরস্পর সম্পর্কিত ধারনা।

 দুনিয়ার সফলতা
দুনিয়ার সফলতা মানে হলো একজন মানুষের জীবনে সমাজে, অর্থনৈতিকভাবে, ও ব্যক্তিগতভাবে ভালো অবস্থান অর্জন করা। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
– **আর্থিক উন্নতি**: উপার্জন, ব্যবসা, এবং নিরাপদ জীবনযাত্রা।
– **নৈতিক এবং সামাজিক অবস্থান**: সম্মান, শ্রদ্ধা, এবং সৎ জীবনযাপন।
– **শিক্ষা এবং জ্ঞান**: জ্ঞানের চর্চা এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখা।
– **সন্তোষ এবং শান্তি**: মানসিক ও আধ্যাত্মিক শান্তি লাভ করা।

 আখেরাতের সফলতা
আখেরাতের সফলতা হলো পরকালীন জীবনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা এবং জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যমে চূড়ান্ত পুরস্কার পাওয়া। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:
– **ইমান ও আমল**: আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও সৎ কাজ করা।
– **আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি**: মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
– **আল্লাহর রহমত**: আল্লাহর নিকট দোয়া ও তওবা করে তাঁর অনুগ্রহ অর্জন করা।
– **জান্নাতে প্রবেশ**: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে চূড়ান্ত সফলতা লাভ করা।

সম্পর্ক
দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা পরস্পর সম্পর্কিত। একজন মুসলমানের উদ্দেশ্য হলো দুনিয়াতে সৎ কাজ করে আখেরাতে সফলতা অর্জন করা। ইসলামে বলা হয়েছে যে, দুনিয়াতে সাফল্য অর্জন করা উচিত, তবে এটি যেন আখেরাতের সফলতার পথে বাধা না হয়। সঠিকভাবে জীবনযাপন করলে উভয় ক্ষেত্রেই সফলতা লাভ করা সম্ভব।

পবিত্র কোরআনে কাদের সফল বলা হয়েছে

 

মানুষ সাধারণত সফলতা অর্জনে আকাঙ্ক্ষী। সবাই সফল হতে চায়, কিন্তু এটি সহজে অর্জিত হয় না। সফলতার জন্য লাগামহীন পরিশ্রম ও মেধা প্রয়োজন। ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে পরকালীন সফলতা অর্জনের জন্য তিনটি গুণ অপরিহার্য:

১. তওবা করা : তওবা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় একটি আমল। খাঁটি মনে তওবা করলে আল্লাহ বান্দার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন।

পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর কাছে তওবা করো, তাহলে তোমরা সফলকাম হতে পারবে।’ (সুরা নূর: ৩১)

আরেক আয়াতে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি তওবা করেছে, ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ করেছে, আশা করা যায় সে সফলতার অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সুরা কাসাস: ৬৭)

২. আত্মশুদ্ধি: মানুষের অন্তরে দুই বিপরীত শক্তি আছে—নফস এবং রুহ। সৃষ্টির শুরু থেকে এই রুহ ও নফসের দ্বন্দ্ব চলমান। নেক কাজের মাধ্যমে রুহের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং নফস দুর্বল হয়। রুহ শক্তিশালী হলেই নফস দুর্বল হয়, ফলে অন্যায় ও পাপাচারের প্রতি আকর্ষণ কমে আসে।

পবিত্র কোরআনে এমন ব্যক্তিকে সফল বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শপথ প্রাণের আর তাঁর, যিনি তা সামঞ্জস্যপূর্ণ করেছেন, এরপর তাকে তার অসৎ কর্ম ও সৎ কর্মের জ্ঞান দান করেছেন। সেই সফলকাম হয়েছে, যে নিজ আত্মাকে পবিত্র করেছে।’ (সুরা শামস: ৭-৯)

৩. নামাজ আদায় করা: ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ অন্যতম। নামাজের প্রভাব মুমিনের জীবনে স্পষ্ট। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনরা। যারা তাদের নামাজে আন্তরিকভাবে বিনীত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)

কনি/জুবায়ের

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.

google-site-verification=1ANNK1RMHaj1Iw7yR8eRAr3R5K-aLbxTqN87o-pnte8 google-site-verification: google05340dd170c353ef.html