Company News 24
Stay Ahead with the Latest in Business

চার দফায় আমদানি ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭০ সাদা ডিম

সাদা ডিমের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম, কারণ সাধারণ ভোক্তারা বাদামি ডিম বেশি পছন্দ করেন।

0

Corporate News 24 :  ভারত থেকে ডিম আমদানি হলেও যশোরের বাজারে ডিমের দাম কমেনি। বরং প্রতি পিস ডিমের দাম চার টাকা বেড়ে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমগুলো সাদা রঙের এবং এই ডিমগুলো সাধারণত বেকারি মালিকরা কিনে থাকেন। সাধারণ ভোক্তারা বেশি পছন্দ করেন বাদামি রঙের ডিম। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি পিস ডিম ১৪ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

সাদা ডিম ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে প্রতিদিন এক কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর ৬১ হাজার ৯৫০ পিস, চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস, ৬ অক্টোবর ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস এবং ৭ অক্টোবর ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। এর ফলে চারটি চালানে মোট ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৪৭০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে, যা দেশের চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এই ডিমগুলো রপ্তানি করেছে ভারতের শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভাণ্ডার এবং আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলিউশন।

তবে সাদা ডিমের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম, কারণ সাধারণ ভোক্তারা বাদামি ডিম বেশি পছন্দ করেন। সাদা ডিমের দাম কিছুটা কম হলেও, বেকারিতে এই ডিমের চাহিদা বেশি থাকে। তাই ভারত থেকে সাদা ডিম আমদানি হলেও ভোক্তা পর্যায়ে দাম কমেনি।

বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, দেশে প্রতিদিন লাখ লাখ ডিমের চাহিদা রয়েছে, তবে ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের পরিমাণ এই চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সাদা ডিমের দাম কম হওয়ায় বেকারিতে এর চাহিদা বেশি, তবে বাদামি ডিমের চাহিদা বেশি। বাদামি ডিমের ওজন ৬০ থেকে ৬৫ গ্রাম, আর সাদা ডিমের ওজন ৫০ থেকে ৫৫ গ্রাম। যদি ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের বিক্রি সঠিকভাবে না হয়, তবে ভবিষ্যতে আমদানিতে আগ্রহ কমে যেতে পারে।

বেনাপোল ডিম ব্যবসায়ীদের সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ডিমের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে এবং চাহিদাও ভালো, তবে বাড়তি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে, যার প্রভাব পাইকারি ও খুচরা বাজারে পড়ছে।

বেনাপোলের বাসিন্দা সাজিয়া আলম বলেন, “ভারত থেকে ডিম আমদানি করে লাভ কী? খুচরা দোকানগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বাদামি রঙের ডিম ১৫ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। চাহিদাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।”

ঢাকার কারওয়ান  বাজারের খুচরা ডিম ব্যবসায়ী নবী হোসেন জানান, সিন্ডিকেটই ডিমের দাম নির্ধারণ করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে ডিমের বাজার চড়া, আর এসএমএসের মাধ্যমে সিন্ডিকেট চক্র দাম নির্ধারণ করছে, যা নিয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। ব্যবসায়ীদের ডিম কিনে আনা এবং বিক্রি করার মূল্য খতিয়ে দেখতে হবে এবং পাইকারি ও খুচরা বাজারে সমানতালে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

কনি, জোবায়ের

Leave A Reply

Your email address will not be published.

google-site-verification=1ANNK1RMHaj1Iw7yR8eRAr3R5K-aLbxTqN87o-pnte8 google-site-verification: google05340dd170c353ef.html