EMail: corporatenews100@gmail.com
রাজস্ব এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, দুটি বড় চ্যালেঞ্জ-ড. সালেহউদ্দিন
ঢাকা: রাজস্ব এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কারকে দেশের অর্থনীতির দুটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ খাতগুলোর সংস্কার অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “এ মুহূর্তে আমাদের সামনে যে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, তা হলো রাজস্ব এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কার। এরপর অন্যান্য খাত ও রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে কাজ করা হবে।”
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলে “ফাইন্যান্স অ্যাক্ট, ২০২৪”-এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থার পরিবর্তন নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম. লুৎফুল আজিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শেখ শামীম বুলবুল, ট্যাক্স পলিসি সদস্য এ কে এম বদিউল আলম এবং ট্যাক্স অ্যাডমিন অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের সদস্য জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “আমরা রাজস্ব এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে উৎসাহী এবং আন্তরিক। আপনারা (কর কর্মকর্তারা) দ্রুত এই সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য কাজ চালিয়ে যান।” তিনি স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার উপর গুরুত্বারোপ করে কর কর্মকর্তাদেরকে সাধারণ মানুষের কষ্ট না দিয়ে কর আদায়ের পরামর্শ দেন, যাতে করদাতারা স্বেচ্ছায় কর পরিশোধে আগ্রহী হন।
তিনি আরো বলেন, “অনেক করদাতা কর আদায়ের প্রক্রিয়া নিয়ে ভয় পান এবং হয়রানির আশঙ্কায় কর কর্মকর্তাদের কাছে আসেন না। দয়া করে তাদের আশ্বস্ত করুন, যেন তারা নির্ভয়ে কর প্রদান করতে পারেন।” রাজস্ব সংগ্রহে সকল শ্রেণি ও ধর্মের মানুষকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা দেশকে আত্মনির্ভরশীল করতে চাই, যদিও শতভাগ নির্ভরশীল হওয়া সম্ভব নয়, কারণ আমাদের এখনো বিদেশ থেকে সম্পদ আনতে হয়।”
সরকারের প্রথম নীতি হলো সরকারি তহবিলের অপচয় রোধ করা। তিনি বলেন, “আমাদের নিজেদের সম্পদ সংগ্রহের মাধ্যমে চাহিদা এবং ব্যয় মেটানোর চেষ্টা করতে হবে। তবে এটাও স্বীকার করতে হবে যে, সব সমাধান আমাদের নিজস্ব সম্পদ দিয়েই সম্ভব নয়। প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য বিদেশি তহবিল প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “যদি আপনার হাত অন্যের পকেটে থাকে, তবে তারা নড়লে আপনাকে নড়তে হবে। আমরা এই পরিস্থিতি প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুভব করছি।” তবে সরকার পুরোপুরি দাতা সংস্থার ওপর নির্ভর করতে চায় না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রত্যক্ষ করকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজস্ব সংগ্রহে প্রত্যক্ষ করের অংশ এখন
ও তুলনামূলকভাবে কম। এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কোনো করদাতা যেন আপনাদের ভয় না পান। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
সভায় উপদেষ্টা আরো বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কর ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, শুল্ক এবং দ্বৈত কর পরিহার নিয়ে আলোচনা হবে।