EMail: corporatenews100@gmail.com
এবার চট্টগ্রাম ওমেন চেম্বারেও প্রশাসক নিয়োগের দাবি
করপোরেট নিউজ 24 ডটকম: চট্টগ্রাম ওমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রি(সিডব্লিউ সিসিআই)তেও দীর্ঘদিন ধরে কোন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় না। কবে সেখানে সাধারণ সদস্যরা ভোট দিয়ে পরিচালক নির্বাচন করেছেন তাও অনেকের জানা নেই।
মূলত: ২/৩জন প্রতিষ্ঠাকালীন এই সংগঠনের উদ্যেক্তা পরিচালক এই সংগঠনের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন।
শুক্রবার(১৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম ওমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজ এর ওয়েবসাইট https://cwcci.org/ ভিজিট করে সেখানে কোন বোর্ড অব ডিরেক্টরস এর নাম পাওয়া যায় নি। পেজটি খালি। সচিব বা জনসংযোগ বিভাগের কোন তথ্য নেই।
এদিকে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মত চট্টগ্রাম ওমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজ(সিডব্লিউ সিসিআই)তেও বাণিজ্য মন্ত্রানালয়ের অধীনে প্রশাসক নিয়োগের দাবি উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাধারণ সদস্য দাবি করেন, সিডব্লিউ সিসিআই এর পরিচালক ও সভাপতি ভোটারদের নির্বাচনের পরিবর্তে সিলেকশানে হয়ে আসছেন। রাতের অন্ধকারে দুজন-তিনজন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন কারা পরিচালক পদে থাকবেন, কে হবেন সভাপতি। স্বেচ্ছাচারিতা, অগণতান্ত্রিক আচরণ, যেকোন সিদ্ধান্ত সাধারণ সদস্যদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে সিডব্লিউ সিসিআই পরিচালিত হয়ে আসছে।
বিগত ১৫ বছরের কমিটি গঠনে সাধারণ সদস্যদের ভোটাধিকার ছিল না।
বিগত কয়েকবছর যাবত উইমেন্স ট্রেড ফেয়ার নারী উদ্যোক্তা বান্ধব না হওয়ায় অন্যান্য জেলার নারী উদ্যোক্তারা মেলায় অংশগ্রহণ করেনি।
তারা বলেন, সিডব্লিউ সিসিআই আয়োজিত মেলা সমূহে বিগত কয়েকবছর যাবত প্রতিবন্ধী ও হত দরিদ্র নারী উদ্যোক্তাদের জন্যে কোন দোকান বরাদ্ধ রাখা হয় নি। সিডব্লিউ সিসিআই এর সাধারণ সদস্যদের প্রতিনিয়ত অফিস কর্মচারীরা রুঢ় আচরণ ও হেনস্থা করে থাকেন।অভিযোগ করেও পরিচালকদের কাছে সুবিচার পাওয়া যায় না।
সদস্যরা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বেশি অর্থের লোভে উইমেন্স ট্রেড ফেয়ার সেকেন্ড / থার্ড পার্টির কাছে হাত বদল করা হয়। যার কারনে মেলার পরিবেশ নষ্ট হয়।
এছাড়া তারা বলেন, সিডব্লিউ সিসিআই এর প্রাথমিক সদস্য ফি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বান্ধব নয়।
অতিরিক্ত ফি দিয়ে প্রতিবছর সদস্যপদ নবায়ন করতে হয়।
সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সিডব্লিউ সিসিআই আয়োজিত ট্রেনিংএ যোগদানের জন্য নিয়মিত ফি আদায় করা হয়।
সবসময় দেখা গেছে, দিনব্যপি ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
যোগ্যতাসম্পন্ন সদস্য থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ট্রেডে ট্রেইনার হিসেবে সুযোগ দেয়া হয় না।
উইমেন্স ট্রেড ফেয়ারে সাধারণ সদস্যদের মেলার ভেতরের সাইডে দোকান বরাদ্ধ দেয়া হয়।
আবেদনকারী সদস্যদের বাধ্যতামুলক দুটো করে দোকান বরাদ্ধ দেয়া হয়।
মেলায় বিদ্যুৎ ও সিকিউরিটি বিল অতিরিক্ত ধার্য করা হয়।
তাছাড়া উইমেন্স চেম্বারের সাথে যেসব সদস্য বিভিন্ন প্রজেক্টের সাথে সংযুক্ত ছিল তাদের পাওনাদি সঠিক সময়ে পরিশোধ করা হয় না।
এ ব্যাপারে উইমেন্স চেম্বারের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রেসিডেন্ট নারী নেত্রী মনোয়ারা হাকিম আলীর মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি কোন রেসপন্স করেন নি।
উল্লেখ্য দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে নিজেরা নিজেরা পরিচালক নির্বাচন, সভাপতি নির্বাচন করে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ইমেজ ক্ষুন্ন করেছে সাবেক সরকারের একটি একটি মহল। সেখানে শেষতক ছেলে মেয়েদের প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পরিচালক বানানো হয়।
সরকার পরিবর্তনের হাওয়ায় সেখানেও বিক্ষোভের মুখে একের পর এক পরিচালক পদত্যাগ করেন। সবশেষে প্রেসিডেন্ট বাণিজ্য মন্ত্রাণালয়ের বরাবরে পদত্যাগ পত্র পাঠালে সেখানে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। ৩/৬ মাসের মধ্যে প্রশাসক একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
আগের খবর : ‘পরিবারতন্ত্র’ থেকে মুক্ত হচ্ছে চট্টগ্রাম চেম্বার
কনি/মনির